পোস্টগুলি

গল্প লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভানগড় দূর্গ রহস্য | [1st and 2nd part]

ছবি
কলকাতা শহরে কিংবা পাহাড়ি পাইন বনের অন্দরে আবার কখনো বা সুন্দরবনের শতাব্দী প্রাচীন রাজবংশের ইতিহাসের পাতায় । আমরা ভূত খুঁজে চলেছি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে । আজ বরং পারি দেওয়া যাক রাজ্যের বাইরে কোথাও । হ্যাঁ, আজ আপনাকে যেখানে নিয়ে যাচ্ছি যেখানকার গল্প বাংলায় এই প্রথম শুনবেন আপনি । তবে এই গল্পটিও বেশ বড় এবং একই সঙ্গে এর কয়েকটি আলাদা আলাদা ছোট গল্পও রয়েছে । তাই এটিও আমাদের কয়েকটি পর্বে ভেঙে ভেঙে আপনাকে শোনাতে হচ্ছে । তাহলে চলুন শুরু করি ! ) প্ৰথম পর্ব ভানগড়, রাজস্থান, ২০১০ ‘ The Tribune Chronical ‘ পত্রিকার সাংবাদিক তরুণ গৌর তখন বেশ কিছুদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন । তারপর একদিন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মিঃ ভোরা-কে জানাতেই তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশ নড়েচড়ে বসলেন । বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলার পর দুজনে স্থির করলেন এই বিষয়টি নিয়ে একটা মিডিয়া কভারেজ করা যেতেই পারে । অনুমতি পাবার পর থেকেই মিঃ গৌর বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করতে লাগলেন কারণ আজ তিনি সেই জায়গাটার সত্য উদ্ঘাটন করতে যাচ্ছেন, যা হয়তো আগে কেউ করার সাহসই পায়নি । পরের দিন সকাল সাতটা । ড্রাইভার রাম সিংকে আগেই বলা ছিল । সময়-জ্ঞানও তার বে...

অবাক করা ঘটনা

ছবি
রিকশাওয়ালাকে বললাম, "মামা, লিচুর দোকান দেখলে থামায়েন। লিচু কিনবো।" 😊 রিকশাওয়ালা বললেন, "ঠিক আছে। আমি আপনারে লিচু বাইছা দিমুনে। আমি আগে লিচুর ব্যবসা করতাম।" 😇 আমি কিছুটা অবাক হয়ে বললাম,"লিচুর ব্যবসা বাদ দিছেন ক্যান?? লাভ কম??" 😒 রিকশাওয়ালা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,"লাভ কম না, তবে লোকজন এমন সব প্রশ্ন করে যা একজন পুরুষ মানুষের জন্য অপমানজনক।" 😰 আমি খুব আগ্রহ নিয়ে বললাম, "অপমানজনক কি প্রশ্ন করে??" 🤨 রিকশাওয়ালা কিছুটা লাজুক ভঙ্গিতে বললেন, "তোমার লিচু এতো ছোট ক্যান??" 🙂

নায়ক নায়িকার দার্জিলিং ভ্রমণ

ছবি
অপরূপ সৌন্দর্য্যের শহর দার্জিলিং ছেড়ে রওনা দিলাম বাংলাদেশে ফেরার উদ্দেশ্যে। প্রথমে আমরা শিলিগুড়িতে আসি। ফেরার পথে কলকাতাকেও অন্তর্ভুক্ত করেছি। এখন চলছি শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা। আগেই দেখেছি শিলিগুড়ির আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা। নিউ জলপাইগুড়িতে আসি আমরা সকাল ৭ঃ০০ টায়। জলপাইগুড়ি থেকে শিয়ালদাহ পর্যন্ত আমরা ট্রেনের টিকিট কেটে নিই। শুরু হয় কলকাতায় আসার এক চরম অভিজ্ঞতা। আর আমাদের নায়ক-নায়িকাদের মিষ্টি দুষ্টুমিতে জিজের ভ্রমণটুকু আরো প্রাণবন্ত হচ্ছে। সুস্মিতাঃ মফি, আমরা ফিরে চলছি, কেমন লাগছে তোর? মফিঃ কি আর বলব? আমার মনে হচ্ছি দার্জিলিং এই তোকে নিয়ে সংসার শুরু করি। তুই যে গাউড়া, তুই তো বুঝলি না। সুস্মিতাঃ কি বললি? আবার বল্। মফিঃ যা দুষ্টামি করলাম আর কি?

ইসলামিক এবং শিখনীয় গল্প - ১

ছবি
-এক গ্রামে এক কুপ ছিল। --গ্রামের লোকজন যখনই জল তোলার জন্য তাতে বালতি ফেলতো প্রতিবারই বালতিশূন্য দড়ি উঠে আসত। --এমন অদ্ভুতকাণ্ড বারবার ঘটায় গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল যে, কুপে ভয়ংকর একটা ভুত বাস করে। কিন্তু এভাবে আর কদিন চলে? তাদের জল সংগ্রহ করতে হবে। এর একটা বিহিত করা দরকার। --কিন্তু কুপে নামবে কে? কেউ সহজে রাজি হচ্ছে না।এমন সময় এক যুবক নামতে রাজি হলো।সে বলল, আমি কুপে নামব।আমার কোমরে দড়ি বেঁধে নামিয়ে দেবেন। তবে শর্ত হল দড়ির অপর প্রান্তে অবশ্যই আপনাদের সাথে আমার মা বাবাকে থাকতে হবে। --গ্রামের লোকজন তার শর্ত শুনে বেশ আশ্চর্য হলো। গ্রামের শক্তিশালী এতগুলো মানুষ থাকতে তার বাবা মাকে লাগবে কেন? প্রথমে তারা যুবককে বিষয়টা বোঝাতে চেষ্টা করল।মা বাবা বলল নামিস না খোকা ভুত প্রেত থাকতেও পারে। কিন্তু যুবকের এক কথা সে নামবে এবং অবশ্যই গ্রামের লোকজনের সাথে মা বাবাকে ও উপরে রাখতে হবে।অবশেষে এই শর্তে সবাই রাজি হলো। সবাই মিলে যুবককে কুয়াতে নামিয়ে দিল।ভেতরে গিয়ে সে দেখল, কুয়ার মধ্যে একটি বানর পাশে গজিয়ে ওঠা গাছপালাতে ঝুলে আছে। মূলতঃ বানরটিই দড়ি খুলে বালতি রেখে দিত। যুবক বানরটিকে ধরে কাঁধে বসিয়ে ...